রাস্তা খানা খন্দ ভর্তি : বিপদ হাতে প্রতিনিয়ত যাতায়াত কোন্নগর নৈটি রোডে

4th September 2020 2:01 pm হুগলী
রাস্তা খানা খন্দ ভর্তি : বিপদ হাতে প্রতিনিয়ত যাতায়াত কোন্নগর নৈটি রোডে


নিজস্ব সংবাদদাতা ( হুগলী ) :   হুগলী জেলার কোন্নগরের নৈটি রোডের মানুষের রাস্তার সমস্যা  দীর্ঘদিনের।কোন্নগরের জিটি রোড এবং ডানকুনির এনএইচ টু, প্রধান যোগাযোগের রাস্তা হল নৈটি রোড। প্রধান সড়কের অবস্থা বেহাল দশা।স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ ভোট আসে ভোট যায় শুধুই মেলে প্রতিশ্রুতি।  কিন্তু নৈটি রোডের রাস্তার   অবস্থা বদলায় না। কোন্নগর শহর সহ কানাইপুর ও নবগ্রামের সমস্ত মানুষ এই রাস্তাই ভরসা । রাস্তার উপরে রয়েছে স্কুল,ব্যাংক থেকে হাসপাতাল।অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে সম্পূর্ণ সংস্কার না হওয়ার কারনে  রাস্তার বেহাল দশা ।স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ মাঝে একবার সংস্কার হলেও তা সম্পূর্ণ ভাবে না হওয়ায় আবার ভগ্নদশায় এই নৈটি রোড।সম্প্রতি রাস্তায় পানীয় জলের পাইপ বসানোর কাজ হয়েছে। তার পর থেকে  রাস্তার অবস্থা এখন আরো খারাপ অবস্থা হয়ে পড়েছে। কবে যন্ত্রনা থেকে মুক্তি পাবে তার উত্তর খুঁজছে সাধারণ মানুষ।সাধারণ মানুষের আরো অভিযোগ এই রাস্তার কারণে কাজে কর্মে যাওয়া থেকে, কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকেও চিকিৎসা করাতে নিয়ে যাওয়ার জন্য সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তা ছোটখাটো পুকুরে পরিণত হচ্ছে।এলাকার বাসিন্দা  মানস রায় জানায়  প্রায় দীর্ঘ সাত বছর ধরে এই রাস্তা সম্পূর্ণ সংস্কার হচ্ছে না।  যার ফলে মানুষকে প্রতিনিয়ত সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। কাজ খুব ধীর গতিতে হচ্ছে। ফলে ভাঙ্গা রাস্তা দুদিকে মাটি জমে যাচ্ছে এবং মানুষের যাতায়াত করতে অসুবিধা হচ্ছে। বৃষ্টি হলে আরও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।  ছোটবেলায় মাঠে কাঁদা মাখার জন্য খেলতাম।  এখন রাস্তায় যা পরিস্থিতি মনে হয় রাস্তায় বেরিয়ে কাঁদা মেখে আসি।  স্থানীয় বাসিন্দা "রহিত মিত্র "বলেন বৃষ্টি হলে রাস্তায় জল জমে যায় চলাচলে সমস্যা হয়। টোটো, অটো, রিক্সা ভাড়া দ্বিগুণ হয়ে যায়। কানাইপুরের স্বাস্থ্যকেন্দ্র যাবার এই রাস্তা।  কোন রোগীকে নিয়ে যেতে খুব সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। কবে রাস্তা ঠিক হবে কে জানে।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।